লালমনিরহাটের সত্তর, আশি ও নব্বই দশকের কবি, সাহিত্যিক, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সংস্কৃতিজনদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে জেল রোডস্থ সোনালী পার্কের মীর লাইব্রেরিতে অনুষ্ঠিত ওই পুনর্মিলনী বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ১০টা অবধি চলে।
ওই অনুষ্ঠানের কর্মকাণ্ডগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল সোনালী দিনের স্মৃতিচারণ, আগামী দিনের দিক নির্দেশনা নির্ণয়, তিন দশকের স্মৃতিগাঁথা নিয়ে পুস্তক প্রকাশনার পরিকল্পনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নৈশভোজ।
নাট্যজন অ্যাডভোকেট চিত্ত রঞ্জন রায় মন্টু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সরদার আব্দুর রশীদ, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাবেক সদস্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রফেসর হামিদুল হক মন্টু, সাংবাদিক ও সংগীত শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা গোকুল রায়, প্রয়াত সাংস্কৃতিক সংগঠক মতলুবুর রহমান বুলু বসুনিয়ার স্ত্রী প্রাক্তন শিক্ষক সাজেদা খাতুন, ওস্তাদ তাজুল চৌধুরী, সাবেক সিভিল সার্জন ডাক্তার কাসেম আলী, সাংস্কৃতিক সংগঠক হাবিবুর রহমান হাবিব, ওস্তাদ আবু জাহান চন্দন, সাংস্কৃতিকজন ও সংগীত গুরু কিশোর সরকার বাঁকা, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও শিল্পী নাসরীন জেনেভা, ছড়াকার শ. ম. শহীদ, কবি রিয়াজুল হক সরকার, কবি হাফিজুর রহমান হাফিজ, সংগীত শিল্পী সমু খন্দকার, কবি সাদিক ইসলাম, সংগীত শিল্পী ও কলামিস্ট তৌহিদুল ইসলাম চঞ্চল ও লালমনিরহাট সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক সূফী মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে প্রয়াত সাংস্কৃতিক সংগঠক প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সংগীত পরিবেশন করেন কিশোর সরকার বাঁকা, হেমন্ত কুমার রঞ্জিত, বাদশা আলম, নিশি রায়, সমু খন্দকারসহ প্রমুখ। কবিতা আবৃত্তি করেন শিব সুন্দর বর্মন, শ ম শহীদ, রিয়াজুল হক সরকার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক সংগঠক কবি পি. কে. বিক্রম।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে চারটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭০, ১৯৮০ এবং ১৯৯০ শতকের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মি সংগঠক, সংগীত শিল্পী, নাট্য অভিনেতা, কবি ও সাংস্কৃতিক জনরা এই অধিবেশনে তাদের স্মৃতিচারণ করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্বাবধানে ছিলেন আমেরিকায় অবস্থানরত বিশিষ্ট কবি, লেখক ও সংগঠক ডাক্তার জাকিউল ইসলাম ফারুকী।